পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে আড়াই লাখ পর্যটক আগমনের আশা করছেন কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে বুকিং হয়েছে ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেলের কক্ষ। তাই নতুন করে সাজানো হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে রমজানে একমাস পর্যটকশূন্য থাকায় সৈকতের প্রকৃতি তার নিজস্ব রুপে সেজেছে। ঈদের পরে আগত পর্যটকরা এ মনভোলানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সুনসান নিরবতা। ফাঁকা পড়ে আছে সৈকতে পাতা বেঞ্চিসহ ভাসমান দোকান। তবে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। কেউ তাদের ভাসমান দোকান নতুন করে তৈরি করেছেন। কেউ রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়েছেন। কেউবা আবার ধোয়া মোছা করছেন। শুধু সৈকতের ভাসমান দোকানই নয়, নতুন করে প্রতিষ্ঠান সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ীরাই।
আরো পডুন : সেই বৃদ্ধার ঘরে ঈদ উপহার পাঠালেন ইউপি চেয়ারম্যান
কুয়াকাটা সৈকতের বেঞ্চ ব্যবসায়ী নুরুল হক জানান, একমাস পর্যটকশূন্য ছিলো কুয়াকাটা। আমরাও বাড়িতে অলস সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার যে বেঞ্চ ছিলো এসে দেখি কয়েকটির রং জলে গেছে। তাই নতুন করে রং করছি।
সৈকতে আচার ব্যবসায়ী মোকলেছ মিয়া জানান, আমার মূলত ভাসমান দোকান। কয়েকটি কাঠ ছুটে গেছে। তাই নতুন করে কাঠ লাগিয়েছি। আশা করছি ঈদে কুয়াকাটায় লাখ লাখ পর্যটক আসবে। এবং আমরা এই এক মাসে যে লোকসানে পড়েছি তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েসন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জানান, এবছর ঈদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখেরও ছুটি রয়েছে। তাই আমরা আশা করছি আজ ঈদের দিন থেকেই পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠবে কুয়াকাটা। আড়াই লাখ পর্যটক আগমনের আশা করছি আমরা। সেভাবেই সাড়া পাচ্ছি। ইতোমধ্যে ফাইভ স্টার মানের হোটেল মোটেলগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য হোটেল মোটেলের ৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। আশা করছি ঈদের আগে সকল হোটেল মোটেল বুকিং হয়ে যাবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা নির্বিঘ্নে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।