পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় কৃষকের ফল ও সবজি গাছ গভীর রাতে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মো. ইউসুফ আলী (মহুরি) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মেলাপাড়ায় প্রায় দুই একর জমিতে কৃষক হাবিবুর রহমান মৃর্ধা ফলজ গাছ, লাউ, কুমড়া, বেগুন, টমেটো সহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেন। কৃষক গত কয়েকদিন আগে সবজি বিক্রি শুরু করেছিলেন, কিন্তু সোমবার সকালে উঠে দেখেন তার ক্ষেতের প্রায় ৭০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী কৃষক হাবিবুর রহমান মৃর্ধার বাবা আবু সালেহ মৃর্ধা বলেন, “গত রাতে আমি সবকিছু ঠিকঠাক দেখে ঘুমিয়ে পড়ি, কিন্তু গভীর রাতে কিছু লোকের আনাগোনার শব্দ শুনে আমি বের হইনি। সকালে উঠে দেখি আমাদের সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে আমাদের কোনো শত্রু নেই, তবে ইউসুফ মহুরির লোকজন জমি দখলের চেষ্টা করছে।” তিনি ক্ষতির বিচার চেয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সোলাইমান বলেন, “এদের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারা কঠোর পরিশ্রম করে এই কৃষি কাজে নিয়োজিত ছিল, যা আমরা দেখেছি। এই ধরনের কাজ অমানবিক এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর। এমন মানুষের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।”
কৃষক হাবিবুর রহমান আরও বলেন, “আমার প্রায় পাঁচ লাখ টাকার সবজি ও ফল বিক্রি হতো। কিন্তু সব কিছু এক নিমিষে শেষ হয়ে গেলো। আমার এই ক্ষতি করেছে ইউসুফ মহুরির লোকজন। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গাজী মো. ইউসুফ আলী (মহুরি) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “৫ তারিখের পরে আমরা পরিবারসহ এলাকায় ছিলাম না। এখন ষড়যন্ত্র করে আমার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। গাছগুলো কে কেটেছে, সেটা আমাদের জানা নেই।”
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”