পটুয়াখালির কুয়াকাটা থেকে একটি বিশাল কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। বঙ্গোপসাগরের গভীর সাগরে জাল ফেলে জেলে জালাল মাঝি (৩৬) ১৮ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এই কোরাল মাছটি উদ্ধার করেন। মাছটি বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকায়, এবং ব্যবসায়ী খলিল খান সেটি কিনে নেন।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটে মাছটি নিয়ে আসা হয়, যেখানে খলিল খান এই মাছটি কিনে নেন। মাছটি দেখে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। মাছটি বিক্রির স্থানেই উপস্থিত ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) ভোরে বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার সময় মাছটি ধরা পড়ে। কোরাল মাছটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর, যার মধ্যে জিংক ও আয়োডিন রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই মাছটি হৃদযন্ত্রের জন্যও ভালো, কারণ এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এর পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে সেলেনিয়াম।
মাছটি পাওয়ার বিষয়ে জালাল মাঝি জানান, “প্রতিদিনের মত গভীর সাগরে ট্রলার নিয়ে গিয়েছিলাম। বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। এসব মাছের চাহিদা অনেক, তাই ভালো দামে বিক্রি করেছি।”
কুয়াকাটায় মাছ কিনতে আসা ক্রেতা তৈয়বুর রহমান বলেন, “এরকম মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না, তবে দাম বেশী হওয়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের পক্ষে কিনা সম্ভব হয় না। যদি মাছগুলো কেটে বিক্রি করা হয়, তবে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কিনতে পারব।”
মাছ ব্যবসায়ী খলিল খান বলেন, “এ ধরনের বড় কোরাল মাছ সব সময় পাওয়া যায় না। আমি দেখে পছন্দ করেছি, তাই নিলামের আগেই ১১০০ টাকা কেজি দাম দিয়ে জেলের কাছ থেকে মাছটি কিনে নিয়েছি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।”
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “কোরাল মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং শিশুদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও সুন্দরবনের মোহনাগুলোতে এই ধরনের মাছ আরও ধরা পড়বে, এমন আশা রাখি।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম