মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতিতে টইটম্বুর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
পর্যটকদের বহনকারী বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী রুটের আলীপুর থেকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার মহাসড়কে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটকরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটকবাহী শত শত গাড়ি আসতে থাকে। হঠাৎ এত গাড়ি আসায় পুরো মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও কুয়াকাটা পৌর সভার কর্মচারীরা। যানজটের কারণে স্থানীয় অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলো চলছে বিকল্প রাস্তায়।
অটোরিকশা চালক উজ্জল মৃধা বলেন, আজকে এত বেশি পর্যটক হয়েছে কুয়াকাটায় এখন আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছি না। ট্যুরিস্ট পুলিশ আমাদেরকে মহাসড়কে উঠতে নিষেধ করেছে। মূলত পর্যটকদের গাড়িতেই যানজটের তৈরি হয়েছে।
খুলনা থেকে পর্যটক নিয়ে আসা হানিফ পরিবহনের চালক রুহুল আমিন বলেন, কুয়াকাটার রাস্তা ছোট হওয়ায় এই ভোগান্তির তৈরি হয়েছে। তবে কুয়াকাটার টার্মিনাল আরও বড় দরকার। আমরা ১ ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে আছি। ভোগান্তি যত কম হবে পর্যটক তত বেশি আসবে কুয়াকাটায়।
এ বিষয় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাস টার্মিনালের কাজ শেষ হলে ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে। তবে ছুটির দিনগুলোতে আমরা বাড়তি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করি। আমরা চেষ্টা করছি পর্যটকদের ভোগান্তি কমাতে।
এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, আজ অনেক পর্যটক হওয়ায় কুয়াকাটার মূল সড়কে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। তবে আমাদের একাধিক টিম যানজট নিরসনে কাজ করছে।