বরিশাল অফিস :: পটুয়াখালী সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভিড় করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা। আগতদের নিরাপত্তায় মাঠে তৎপর টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গতকালই শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায়, পর্যটকবাহী গাড়িতে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার পার্কিং গুলো। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিল পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে আজ সকাল থেকে সৈকতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকেরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক হয়েছে আজকে। খুলনা থেকে আসা দম্পতি সাদ-মুন্নু বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। যদিও এর আগে আমরা দুইবার এসেছি। কুয়াকাটায় একসঙ্গে এতবেশী পর্যটক দেখে বেশ ভালোই লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টগুলোর খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার।’
কুয়াকাটা পায়রা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম চন্দ্রদ্বীপ নিউজকে বলেন বলেন বলেন, ‘খাবার যা তৈরি করেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে। এত পর্যটক আসবে তা বুঝতে পারি নাই।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা ‘টোয়াক’ এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার চন্দ্রদ্বীপ নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। ইতিমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট গুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।’
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ‘পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। কুয়াকাটার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে আমাদের টিম রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।’