পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় জসিম উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে উদ্ধার করছেন স্থানীয় জেলেরা। পরে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড মাঝিবাড়ি সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। উদ্ধার হওয়া যুবক জসিম উদ্দিনের বাড়ী মির্জাগঞ্জের কাঁঠালতলী। তার বাবার নাম শাহ আলম।
হাসপাতালে নিয়ে আসা ভ্যানচালক কবির হোসেন বলেন, জেলেরা মাছ ধরে কুয়াকাটা সমুদ্র তীরে ফেরার সময় জসিম উদ্দিন চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেন। আমরা প্রথমে পাগল ভেবে কাছে গিয়ে দেখি সৈকতে হাত-পা বাঁধ অবস্থায় শরীরে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পড়ে আছেন। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করার পর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জসিম উদ্দিনের মা বিলকিস বেগম জানান, তার ছেলে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সে বাড়িতে আসার জন্য গাড়িতে ওঠে। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। এখন শুনতে পেলাম সে কুয়াকাটা হাসপাতালে আছে।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জেলেরা। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া পাঠানো হবে। বর্তমানে ওই যুবক অবজারভেশনে রয়েছে।