পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় মাটির ক্ষয়রোধ, বেড়িবাঁধ সুরক্ষা ও সুফল প্রকল্পের আওতাভুক্ত সদস্যদের সুবিধায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় এক লাখ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ।
শনিবার বিকারে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট পূর্ব পাশে ঝাউবন এলাকায় এই বনায়নের উদ্বোধন করেন কোস্টাল অঞ্চল বরিশাল বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে নতুনপাড়া পর্যন্ত সমুদ্র রক্ষা বেড়িবাঁধের দুই পাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ২০টি সারিতে মোট ১ লাখ গাছের চারা লাগানো হবে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে চারা রোপণ শেষ করা হবে বলে বন বিভাগ মহিপুর রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এই প্রকল্পের আওতায় লাগানো হবে ঝাউ, আকাশমনি, অর্জুন, তেঁতুল, ইপিল ইপিল, মেহগনি, শিশু, জারুল, আমলকিসহ ১৫ প্রজাতির গাছের চারা।
কোস্টাল অঞ্চল বরিশাল বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়-ঝাপটায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে উপকূলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তাই এই উপকূল এলাকা ও সমুদ্র রক্ষা বেড়িবাঁধ টেকসই করতে সরকারের সুফল প্রকল্পের আওতায় এই ১ লাখ গাছের চারা রোপণের উদোগ নেয়া হয়। এতে একদিকে মাটিক্ষয় রোধসহ ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূল রক্ষা হবে। অন্যদিকে এই সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০০ জন সুফলভোগীও উপকৃত হবেন।