কৃষি উৎপাদনকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সার আমদানির ঋণপত্র খুলতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে সারের সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সার আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সারের আমদানির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। কৃষকদের জন্য সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত না ঘটানোর জন্য ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সারের আমদানি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অযথা বিলম্ব বা বাধা যাতে না আসে, তা নিশ্চিত করার জন্য এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এর ফলে কৃষকদের জন্য সারের মূল্য সহজলভ্য হবে এবং সারের কোনো অভাব ঘটবে না। এর সাথে আরও বলা হয়েছে যে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সারের সঠিক পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা কৃষি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে যে, সার আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে। এর ফলে ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণ গ্রহণ আরও সহজ হবে এবং সারের দাম কম থাকবে। কৃষকরা যাতে কম খরচে সারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেন, সেজন্য ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
এই নির্দেশনা থেকে পরিষ্কার যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সারের সরবরাহের নিশ্চয়তা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সারের আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে। এর মাধ্যমে সারের সরবরাহ এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রদত্ত নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হবে। কৃষকদের জন্য সারের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।