চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল, ড্রাগন, নানা উপকারী গুণের কারণে আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শরীরের জন্য এর উপকারিতা ক্রমেই বাড়াচ্ছে ড্রাগন ফলের জনপ্রিয়তা। এই ফলের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দেশে বাড়ছে এর উৎপাদনও। তবে আপনি কি জানেন, নিয়মিত ড্রাগন ফল কেন ডায়েট লিস্টে রাখবেন?
ড্রাগন ফল পিটায়া নামেও পরিচিত। ধারণা করা হয়, গ্রীষ্মমন্ডলীয় এ গাছের উৎপত্তি মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়। যদিও সেখান থেকে এ গাছ এখন সারা বিশ্বে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের নরম শাঁস ও মিষ্টি গন্ধ বেগুনি বা গোলাপি এবং সাদা দুই রঙের হয়ে থাকে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এ ফলের ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম, তবে এতে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে।
ক্যালোরি: ১৩৬
প্রোটিন: ৩ গ্রাম
ফ্যাট: ০ গ্রাম
ফাইবার: ৭ গ্রাম
আয়রন: ৮%
ম্যাগনেসিয়াম: ১৮%
ভিটামিন-সি: ৯%
ভিটামিন-ই: ৪%
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং বিটাসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।
২. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪. হজমের জন্য ভালো: শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়ায়।
৫. হার্টের জন্য উপকারী: এতে থাকা ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৬. ত্বকের জন্য উপকারী: ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে এবং চুলের জন্যও উপকারী।
৭. হাড়কে শক্তিশালী করে: এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৮. চোখের জন্য উপকারী: বিটা-ক্যারোটিন চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯. গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী: ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন থাকায় এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল।
ড্রাগন ফলের এসব গুণাবলী এবং উপকারিতা দেখে, এটি নিশ্চিতভাবেই আপনার ডায়েট লিস্টে থাকা উচিত। এর সুস্বাদু স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।