সারাদিনের ব্যস্ততার পর ক্লান্তি অনুভব করা আমাদের জীবনের একটি সাধারণ চিত্র। অফিস, সংসার, আর্থিক চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ—সবকিছু মিলিয়ে যেন ক্লান্তির এক অসীম চক্রে আটকে গেছি আমরা। এমনকি ছুটির দিনেও আমরা বিশ্রামের পর হাঁপিয়ে উঠি। তবে কি এই ক্লান্তি কেবল শারীরিক, নাকি এর পেছনে মানসিক কারণও জড়িত? এ বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সাইকোথেরাপিস্ট ও লেখিকা মোয়া সার্নার তার বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে।
মোয়া সার্নার বলেন, ক্লান্তি দুই ধরনের হতে পারে—শারীরিক এবং মানসিক। শারীরিক ক্লান্তি সাধারণত ঘুম বা বিশ্রামের মাধ্যমে দূর হয়। কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখছি, দীর্ঘ বিশ্রামের পরেও ক্লান্তি থেকে যায়। এর কারণ হলো আবেগ এবং মানসিক চাপ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে করতে আমরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
সার্নারের মতে, নিজের রাগ, দুঃখ, লজ্জা বা ভয়কে দীর্ঘ সময় ধরে দমিয়ে রাখা আমাদের মনের ভেতর শূন্যতার সৃষ্টি করে। এই শূন্যতা আমাদের আরও ক্লান্ত করে তোলে। তিনি বলেন, “নিজের আবেগগুলোকে স্বীকার করতে শিখুন এবং প্রকাশ করুন। এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করে, আমাদের আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।”
শুধু শারীরিক নয়, মানসিক বিশ্রামও গুরুত্বপূর্ণ। সার্নার জানান, নিজের আবেগ এবং মানসিক অবস্থাকে বোঝার চেষ্টা করুন। এটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তবে এটি মানসিক ক্লান্তি দূর করার একটি কার্যকর উপায়।
শারীরিক ক্লান্তি সহজেই কাটিয়ে ওঠা গেলেও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে নিজেকে এবং নিজের আবেগকে বুঝতে হবে। তাই শারীরিক বিশ্রামের পাশাপাশি মানসিক বিশ্রামকেও গুরুত্ব দিন। নিজের মনের সঙ্গে সময় কাটান এবং আবেগ প্রকাশ করুন। এতে শুধু ক্লান্তি দূর হবে না, আপনি হবেন আরও প্রাণবন্ত।