মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের একটি হাসপাতালের মর্গে দেখা গেছে এমন এক দৃশ্য। সেখানে জাহের আবু জারিফা নামের এক বাবা তার সাত বছর বয়সী ছেলে সাইফের জন্য কাঁদছিলেন। সাইফ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে। সাইফ ছাড়াও হাসপাতালের মর্গে আরও ১১টি ব্যাগে তখন মরদেহ রাখা ছিল।
জাহের আবু জারিফা জানিয়েছেন, তার ছেলে একটি স্কুল গেটের সামনে সাইকেল চালাচ্ছিল। তখনই তার ওপর আঘাত হানে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলি দখলদার সেনাদের হাতে প্রাণ হারানো সাত বছর বয়সী সাইফের জন্য খোঁড়া হয় একটি ছোট কবর। কবর খননকারী তাকে সমাহিত করার আগে বডি ব্যাগের চেইনটি খুলে দেন; যেন তাকে শেষবারের মতো আরেকটি চুমু দিতে পারেন তার বাবা। কঁপালে চুমু দেওয়ার পর সাইফকে খুব যত্ন করে কবরে নামিয়ে সমাহিত করে দেওয়া হয়।
ছেলেকে কবর দেওয়ার পর কাঁদতে থাকেন জাহের আবু জারিফা। তিনি বিলাপ করে বলতে থাকেন ‘আমাকে ক্ষমা করে দাও, সাইফ, আমি তোমাকে রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, তোমাকে আমি বাঁচাতে পারিনি।’
সূত্র: আলজাজিরা