শিরোনাম

খানাখন্দে ভরা কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক

Views: 60

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা থেকে মৎস্যবন্দর মহিপুর পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের অংশের পিচ উঠে গিয়ে অসংখ্য ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়ক পথে চলাচলকারী গাড়িগুলো একবার রাস্তার এপাশ আবার ওপাশ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

বিআরটিসির বাসচালক ইউনুস মুন্সী বলেন, ‘গাড়ি যে চালামু, রাস্তায় হেই রহম অবস্থা নাই। রাস্তায় গর্ত আর গর্ত। একটা ট্রিপ দেলেই গাড়ি মেরামত করাইতে হয়। এই রাস্তাডা যে মানুষজন ব্যবহার করে, এই রাস্তা দিয়া যে গাড়ি চলে, হেইডা মনে হয় উপরের মহলের খেয়ালে নাই।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার থেকে মহিপুর ইউনিয়নের শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। বছরের পর বছর ধরে এই সড়ক এভাবে পড়ে আছে। এর সংস্কার আদৌ হবে কি না, তা কেউ জানে না।

আরো পড়ুন : কুয়াকাটার বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশে পিচঢালাই উঠে গিয়ে ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে। সড়কটিতে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের একপাশ দেবে গেছে। অথচ সড়কে যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ অসংখ্য যানবাহনের ভিড়। গাড়িগুলো হেলে দুলে চলছে।

পাখিমারা এলাকার কলেজ শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, প্রতিদিন আমাকে এ সড়ক দিয়ে কলেজে যেতে হয়। মোটরসাইকেল চালিয়ে ঠিকই কলেজে যাই, কিন্তু ধুলাবালুতে হাত-পা-মুখ আর কাপড়চোপড় নষ্ট হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে এ সড়কটি মেরামত করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার থেকে মহিপুর মৎস্য বন্দরের শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশের উন্নয়ন কাজ করে খুলনার দ্য রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তখন এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ২০ কোটি টাকা। কাজটি মানসম্মত না হওয়ায় তখন ঠিকাদারের আট কোটি টাকার বিল আটকে দেয় পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

সূত্রটি আরো জানায়, বিল আটকে দেয়ার ঘটনায় দ্য রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম চূড়ান্ত বিল দাবি করে ২০১৪ সালে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার কারণে সংস্কারকাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর আর বড় কোনো কাজ হয়নি এ সড়কে।

পটুয়াখালী সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কটি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় এত দিন এর সংস্কার কাজ করা যায়নি। তবে উচ্চ আদালত মামলার শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন। এখন আর এ সড়কের নির্মাণ বা মেরামতের জন্য কোনো বাধা নেই। আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া যাবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *