শিরোনাম

 গণতন্ত্রের প্রধান দরজা নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

Views: 5

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রবেশের প্রধান ফটক হলো নির্বাচন। তিনি বলেন, যে সকল রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি এ মুহূর্তে নির্বাচন চাইছে, তাদের জন্য সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেকেই ভুলভাবে অভিযোগ করছেন যে, বিএনপি সংস্কার চায় না, শুধুমাত্র নির্বাচন চায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, নির্বাচন হবে তখনই, যখন প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেতে হলে নির্বাচন একটি প্রধান দরজা,” এবং এই দরজা পার করতে হলে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

ফখরুল আরও বলেন, দেশের প্রধান সমস্যা হলো গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব। এখানে কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি, এবং তা না থাকলে কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে সফল হওয়া সম্ভব নয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন কার্যকর ছিল, তখন জনগণ তা গ্রহণ করেছিল এবং তারা মনে করেছিল এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

গণতন্ত্রের বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়, জনগণকেই সঙ্গে নিয়ে এই পরিবর্তন আনা হবে।” তিনি বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন এবং নির্বাচন কমিশনকে জনগণের সঙ্গে ইন্টারেকশন বাড়ানোর আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, দেশের প্রশাসন এবং সরকারি মেশিনারির মধ্যে এখনও ফ্যাসিবাদী চর্চা চলছে, যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা। তিনি বলেন, “কাঠামো না থাকলে কিছু চাপিয়ে দিয়ে সফল হওয়া সম্ভব নয়।” গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি জানান, “যত বেশি সময় যাবে, তত সমস্যাগুলো বাড়বে।”

তিনি অতীতে ২০১৬ সালে রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন এবং ২০২২ সালে ১২ দফা এবং ৩১ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলামের মতে, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

পরিশেষে, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা একাত্তরকে ভুলে গেলে চলবে না, আর গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের ইতিহাস মনে রাখতে হবে।”

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *