১. ডিহাইড্রেশন
ভাজা খাবারে সাধারণত ফ্যাট বেশি থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়াতে কাজ করে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময়ে এ ধরনের খাবার খেলে তা আরও বেশি অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই গরমে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এড়াতে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
২. হজম সংক্রান্ত সমস্যা
ভাজা খাবারে উচ্চ চর্বিযুক্ত উপাদান পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভারী হতে পারে। এটি বদহজম, পেটফাঁপা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। গরমে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, তাই এসময় পরিপাকতন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী।
৩. অতিরিক্ত ঘাম
চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, কারণ এই খাবারগুলো হজম করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে। এটি আপনার জন্য গরমে আরও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই গরমে এ ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
৪. সামগ্রিক স্বাস্থ্য
ভাজা খাবারে সাধারণত উচ্চ ক্যালোরি, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কখনো কখনো ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি এবং হৃদরোগের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাজা ফল, শাক-সবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন সহ একটি হালকা ধরনের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
৫. তাপ-সংক্রান্ত অসুস্থতা
অত্যধিক ভারী, চর্বিযুক্ত খাবার খেলে তা তাপ-সংক্রান্ত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর ফলে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। যে কারণে শরীরের পক্ষে দক্ষতার সঙ্গে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
৬. ফুড পয়জনিং
দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখা ভাজা খাবার অণুজীবের বৃদ্ধির জন্য সংবেদনশীল। গরমের সময়ে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণুর বৃদ্ধি বেশি হয় এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে গরমে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।