মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): জেলার গলাচিপায় তেতুলিয়া নদীতে দুই ট্রলারের সংঘর্ষে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ৯ ঘণ্টা পর ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজন ও স্থানীয়রা।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় নদীর পাঙ্গাশিয়া চরের মাথায় তার মরদেহ জাল টেনে উদ্ধার করা হয় ।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দুই ট্রলারের সংঘর্ষে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
নিহত আবদুল ছালাম খান (৩৫) চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামের মৃত সায়েদ আলী খানের ছেলে।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানায়, ঢাকায় মারা যাওয়া আবদুল ছালাম খানের এক নিকটাত্মীয়ের মরদেহ আনতে তিনিসহ কয়েকজন কাঠের একটি ছোট ট্রলারে দক্ষিণ চরবিশ্বাস থেকে রতনদী তালতলীর ইউনিয়নের বদনাতলী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পটুয়াখালী থেকে একটি বড় ট্রলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের টিসিবির মালামাল নিয়ে চরকাজল লঞ্চঘাটে যাচ্ছিল । আমগাছিয়া ডুবোচর এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৯টার সময় ট্রলার দুইটির মুখোমুখি সংঘর্ষে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন ছালাম।
পরে সারারাত খোঁজাখুঁজির পর বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় নিখোঁজ আবদুল ছালাম খানের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় জনতা জাল টেনে পাঙ্গাশিয়া চরের মাথায় তার লাশটি উদ্ধার করে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সিসহ স্থানীয়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদাউস আলম খান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে।