জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পরেও শুরু হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ। স্থানীয় প্রশাসন এখনো জানে না সেতুর নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময় ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল।
রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সেতু নির্মাণ হলে গলাচিপা উপজেলার মানুষের জন্য বরিশাল বিভাগীয় সদর এবং পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ সড়ক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
নদী পারাপারে প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন ফেরির মাধ্যমে চলাচল করে, তবে এতে সময়, খরচের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে গুরুতর রোগী এবং তাদের স্বজনরা। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী এবং দশমিনা উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গাড়িচালক মো. রনি বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যক্রম চোখে পরছে না। আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।”
সাবেক এক সেনা সদস্য জানান, “দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি ব্রিজ হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যকর কিছুই হচ্ছে না। জীবিত অবস্থায় ব্রিজটি দেখে যেতে পারবো কি না জানি না।”
গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আশা প্রকাশ করেন যে, শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান বলেন, “যে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা যতো ভালো, সে এলাকা ততো উন্নত হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হয়ে গেলে গলাচিপা আর অবহেলিত থাকবে না।”
গলাচিপা বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ব্রিজটি লাখ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। কাজেই সেতুটি জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ হওয়া প্রয়োজন।”
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, “রামনাবাদ চ্যানেলে সেতুটি বর্তমানে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত। তবে এর নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম