পটুয়াখালী জেলার বহুল প্রতীক্ষিত গলাচিপা সেতু জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২১ দশমিক ২৫৯৯ কোটি টাকা। সেতুটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
রামনাবাদ নদীর ওপর প্রস্তাবিত এই সেতুটি নির্মিত হলে বরিশাল বিভাগ ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। প্রতিদিন ফেরি ও ট্রলারের মাধ্যমে শতাধিক যানবাহন এই নদী পাড়ি দেয়। তবে পারাপারে দীর্ঘ সময় নষ্ট ও ভোগান্তি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
গলাচিপা, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুর দাবিতে রয়েছেন। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরি পারাপারের অপেক্ষা করতে হয়। স্থানীয় পবিত্র কুমার নাগ বলেন, “১৯৯৬ সাল থেকে শুনে আসছি রামনাবাদ নদীর ওপরে সেতু হবে। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”
অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, “ত্রিশ বছর ধরে গলাচিপা সেতুর কথা শুনছি। ফেরি পার হতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে। ব্রিজ হলে মাত্র এক মিনিটেই পার হওয়া সম্ভব।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পটুয়াখালীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ করিম জানান, প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে এবং অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশাবাদী, দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
সেতু নির্মাণে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা আশাবাদী, এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। সেতুটি বাস্তবায়িত হলে গলাচিপা থেকে জেলা সদর ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম
ট্যাগ: গলাচিপা সেতু, রামনাবাদ নদী, পটুয়াখালী সেতু প্রকল্প, সওজ প্রকল্প, পটুয়াখালী উন্নয়ন, বরিশাল যোগাযোগ, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ, Golachipa Bridge, Patuakhali Development, Ramnabad River, Bridge Construction Bangladesh, Road Communication Project.