প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে মারাত্মক বিমান হামলাকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করতে হবে বলে বুধবার বলেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স।
প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্সকে উদ্ধৃত করে অনলাইন আইরিশ সংবাদপত্র জার্নাল.আইই জানিয়েছে, ‘গাজার হাসপাতালে হামলা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ হিসাবে তদন্ত করা উচিত।’
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে করে হিগিন্স বলেন, দক্ষিণ গাজার ফিলিস্তিনিরা খাদ্য ও পানির অভাবের কারণে ইতোমধ্যেই খুব চাপের মধ্যে বসবাস করছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলার কথা উল্লেখ করে হিগিন্স বলেন, ‘আমি আগের মতো এখনও সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী লোকদের ওপর আক্রমণের বিষয়ে বিদ্বেষ প্রকাশ করছি।’
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আইরিশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি অঞ্চলে চলমান সংঘাত সমাধানের জন্য ‘টেকসই আগ্রহ’ রয়েছে। তার দাবি, ‘আমরা সবাই জানি, ফিলিস্তিনি জনগণের সবাই হামাস নয়।’
এর আগে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ভয়াবহ হামলাকে বুধবার যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দেয় রাশিয়া। এছাড়া রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ গাজার আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে হামলার চূড়ান্ত দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের বলেও দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে জানানো হয় হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭১ জন।
আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইসরায়েল অবশ্য বিমান হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
এছাড়া ইসরায়েলের হাতে অবরুদ্ধ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন গাজা বর্তমানে এক ভয়ানক মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ভূখণ্ডটিতে পানি, খাদ্য, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ‘ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ’ কমাতে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন।