গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে লোহিত সাগারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সেখানে এই হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তবে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে।
হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগ্রাসনে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধ জাহাজ তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু।
ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির ওপর এখন পর্যন্ত অন্তত নয়বার হামলা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এতে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। কাজে আসছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সও। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য সংঘাত শুরুর পরই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী। যদিও এসব হামলার অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। কিন্তু জর্ডানে সবশেষ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন বাহিনী লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলার জন্য বাইডেন শুরু থেকেই ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলেকে দায়ী করছেন। ইরান তাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এই গোষ্ঠীগুলো ড্রোন ও রকেট দিয়ে হামলা পরিচালনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আটবার প্রতিশোধমূলক হামলা করেছে। বেশি হামলা করা হয় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে।