চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আরও বেশি মানবিক সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন। আর এর জন্য খুলে দিতে হবে সীমান্ত। এমনই দাবি করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।
সেখানে দাঁড়িয়েই বেয়ারবক আরও জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেওয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
বেয়ারবক জানিয়েছেন, মিসর এবং ইসরায়েল দুই পক্ষই তাকে ট্রাক কীভাবে গাজায় ঢোকে সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। বস্তুত, তিনিই প্রথম বিদেশি মন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিলো। তাকে দেখানো হয়েছে, কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।
গত ৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেত। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০ টি ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছেন, আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে দুই-রাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ-পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।