বরিশাল অফিস :: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজারি একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের কাছে একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ শহরের খাদিজা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ওই স্কুলে হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু ও আটজন নারী রয়েছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) টেলিগ্রামে বলেছে, খাদিজা স্কুলের ভেতরে হামাসের একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ছিল। তাদের দাবি, হামাস হামলার নির্দেশনা ও পরিকল্পনা এবং অস্ত্র মজুদ করার জন্য গোপন স্থান হিসাবে ওই কম্পাউন্ড ব্যবহার করেছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ফুটেজে দেখা গেছে নিহতরা বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের বেশিরভাগই শিশু। বিবিসি একটি ভিডিও যাচাই করেছে, যাতে আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে বলে দেখা গেছে।
মোস্তফা রাফাতি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, বিস্ফোরণে তার শরীর কেঁপে ওঠে এবং তিনি পড়ে যান। ভয় পেয়ে তিনি স্কুলের ভেতরে দৌড়ে গিয়ে যান এবং সেখানে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়ে থাকার মতো ‘ভয়ঙ্কর দৃশ্য’ দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘আমি বিস্মিত হয়ে গেছি।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে দেইর আল-বালাহ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক বহিনীর বোমা হামলায় ৫৩ জন নিহত ও আরও ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।