শিরোনাম

গামছা বিক্রিতার ছেলে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া জেলা প্রশাসকের সহায়তা

Views: 45

 

বরিশাল অফিস :: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার রমজান খান সাব্বিরকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফি বাবদ ২৫ হাজার টাকা ও বই প্রদান করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টায় সাব্বিরের হাতে এ আর্থিক সহায়তা ও মেডিকেলের বই তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, “রমজান খান সাব্বির একজন অদম্য মেধাবী ছাত্র। কোনো প্রতিকূলতাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারে নি। অর্থাভাবে মেডিক্যালে ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে জেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে তার মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে সহায়তার প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে। সাব্বির আমাদের সমাজের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও হার না মেনে কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছে। সাব্বিরের মত যেসব মেধাবী ছাত্রছাত্রী অর্থের অভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছে না, তারা জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে সহায়তা প্রদান করা হবে”।

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দমোদরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ খানের ছেলে সাব্বির। তার বাবা একজন কৃষি শ্রমিক। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণভাবে গামছা বিক্রি করে চার সদস্যের সংসার চালান তিনি। তার মেধাবী ছেলে সাব্বির মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়।
যেখানে সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ছেলেকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবারটি।

রমজান খান সাব্বির বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাইভেট পড়ার মতো কোনো সুযোগ ছিল না। পরীক্ষার কোনো বইও কিনতে পারিনি। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারির ট্যাব দিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে দেখে পড়াশুনা করেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।

সাব্বিরের বাবা ফিরোজ খান বলেন, সাব্বির পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কীভাবে ছেলেকে ভর্তি করব আর পড়ালেখার খরচ চালাবো এটা নিয়েও চিন্তায় ছিলাম। ডিসি স্যার আমার ছেলের পড়ার পথ সহজ করে দিয়েছেন, ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *