শিরোনাম

গুগলের নতুন “আইডেন্টিটি চেক” ফিচার: ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রক্রিয়া

বর্তমানে স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে আমাদের প্রতিদিনের কাজ চলে। লগইন করতে গিয়ে অনেকেই জানেন না, যে এসব অ্যাপ এবং সাইট হ্যাকারদের জন্য অযাচিত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। তারা ফিশিং লিঙ্ক পাঠিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে এবং আপনার ফোনও হ্যাক হয়ে যেতে পারে এক নিমিষে।

এমতাবস্থায়, গুগল নতুন একটি ফিচার চালু করতে যাচ্ছে, যার নাম “আইডেন্টিটি চেক”। এটি একটি অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, যা ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করবে। এই ফিচারটি বিশেষভাবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, অনলাইন পেমেন্ট, অ্যাকাউন্ট সিকিউরিটি এবং অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। গুগল এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চালু করেছে, যাতে জালিয়াতি রোধ করা যায় এবং অনলাইন কার্যক্রম সুরক্ষিত থাকে।

আইডেন্টিটি চেক ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথবা ফেসিয়াল রেকগনিশন দিয়ে নিজেকে অথেন্টিকেট করতে হবে। এটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি থেকে রক্ষা করবে। এর সঙ্গে থাকবে থিফট ডিটেকশন লক এবং অফলাইন ডিভাইস লক-এর মতো টুলস, যা সুরক্ষাকে আরও বাড়াবে।

নিরাপত্তা প্রক্রিয়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে:

প্রথমে ব্যবহারকারীদের তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স আপলোড করতে হবে। গুগল AI ও ম্যানুয়াল রিভিউর মাধ্যমে ডকুমেন্ট যাচাই করবে।

অনেক ক্ষেত্রে লাইভ ফটো তুলতে বলা হতে পারে, যা নিশ্চিত করবে যে, আপলোড করা পরিচয়পত্র আসল ব্যক্তিরই এবং কোনো ধরনের কৃত্রিম ছবি নয়।

ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ ও অন্যান্য তথ্য গুগলের ডাটাবেসের সাথে মেলানো হবে। যদি কোনো সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে পুনরায় যাচাইয়ের অনুরোধ করা হবে।

একবার পরিচয় নিশ্চিত হলে, ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট সেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

আইডেন্টিটি চেক ফিচারের বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে:

1. নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এবং অননুমোদিত প্রবেশ রোধ করে।

2. অনলাইন লেনদেন সহজ ও নিরাপদ: ডিজিটাল পেমেন্ট, গুগল অ্যাডস, এবং অন্যান্য অনলাইন সেবার ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

3. বিজ্ঞাপনদাতাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি: গুগল অ্যাডস ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করে, যাতে ভুয়া বিজ্ঞাপনদাতারা প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারে।

4. জালিয়াতি ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ: গুগল সার্ভিসে ভুয়া তথ্য বা অ্যাকাউন্ট প্রতিরোধ করে, বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।

 

এই ফিচারটি চালু করার মাধ্যমে গুগল নীতিমালা অনুসরণ করবে এবং দেশে দেশে প্রয়োগ করা কঠোর অনলাইন পরিচয় যাচাই আইন মেনে চলবে, যা তাদের বৈধতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 

image_pdfimage_print