চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় গুলিতে আহত এক ফিলিস্তিনিকে সামরিক যানের সামনে বেঁধে গাড়ি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এই ঘটনায় সেনারা প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে।
এছাড়া তদন্তেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে একটি অভিযানের সময় আহত এক ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে গাড়ির সামনে বেঁধে রাখার মাধ্যমে তাদের বাহিনী প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে।
মূলত বর্বর এই ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাটি নিশ্চিত করে। আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযানের সময় গুলি বিনিময়ে ওই ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন এবং তিনি নিজেও ছিলেন সন্দেহভাজন।
আহত ওই ফিলিস্তিনি ব্যক্তির পরিবার বলেছে, আহত ব্যক্তির জন্য তারা অ্যাম্বুলেন্স চাইলেও সেনাবাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের জিপের বনেটের সাথে বেঁধে গাড়ি চালানো শুরু করে। যদিও ওই ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টে স্থানান্তর করা হয়।
আইডিএফ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তাসংস্থা রয়টার্সের সাথে কথা বলার সময় তাকে জেনিনের স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত করেন এবং তার নাম মুজাহেদ আজমি বলে জানান।
আইডিএফ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওয়াদি বুরকিন এলাকায় ওয়ান্টেড সন্দেহভাজনদের ধরতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময়, সন্ত্রাসীরা আইডিএফ সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দেয়।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধের সময়, সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন আহত হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অর্ডার এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি লঙ্ঘন করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে একটি গাড়ির ওপরে বেঁধে রাখা হয়েছিল।’