পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::আমাদের পরিবেশ বর্তমানে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে, বায়ুদূষণের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বায়ু হলো জীবজগতের একটি অপরিহার্য উপাদান, যার অভাব মানবসহ অন্য প্রাণীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। বায়ুদূষণ মানে হচ্ছে এমন বায়বীয় পদার্থের উপস্থিতি যা প্রাণীদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মানবসৃষ্ট নানা কারণে আমাদের ঘরের বায়ুও অজান্তেই দূষিত হয়ে উঠছে। ঘরের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য নিচে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো:
১. দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ: ঘরের বায়ুদূষণের উৎসগুলো খুঁজে বের করা জরুরি। রান্নার তেল, কীটপতঙ্গ দূর করার কয়েল, মোমবাতি এবং রাসায়নিক পরিষ্কারের সামগ্রী বায়ু দূষণের কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে ফরমালডিহাইড এবং ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড নিঃসৃত হয়।
২. বায়ু চলাচল: ঘরের মধ্যে যথাযথ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সূর্যের আলো প্রবাহিত হলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের প্রভাব কম হয়। দরজা-জানালা খুলে রাখা উচিত, বিশেষ করে শীতকালে, যাতে বাতাসের গুণগত মান বজায় থাকে।
৩. ধূমপান: ঘরের বায়ুদূষণের একটি প্রধান কারণ ধূমপান। সিগারেটের ধোঁয়া বদ্ধ স্থানে দ্রুত বায়ু দূষিত করে।
৪. বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থা: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চিমনি, এসি, এয়ারকুলার ইত্যাদি ঘরের প্রাকৃতিক বায়ু পরিস্থিতি নষ্ট করে। এই যন্ত্রগুলোর কারণে ধূলাবালি ঘরে বন্দী হয়ে যায়।
৫. ফেসমাস্ক: করোনা মহামারির সময় মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব বেড়েছিল, তবে এখন তা কমে গেছে। বাইরের বায়ুতে ধূলা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, তাই বাইরে বের হলে মাস্ক পরা উচিত।