শুক্রবার (১০ মে) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের দুইজন ইসরায়েলি এবং একজন ফিলিস্তিনি বন্দি জানিয়েছেন, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমির একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের ব্যাপক মারধর ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এক ইসরায়েলি বলেছেন, “কোনো গোপন তথ্য বের করার জন্য মারধর করা হয়নি। তাদের মারধর করা হয়েছে প্রতিশোধ নিতে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিশালায় কিছু করলেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
আরেক ইসরায়েলি সিএনএনকে তেইমানের একটি বন্দিশালার দুটি ছবি দিয়েছেন। যেটি গাজা সীমান্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর রঙের ট্র্যাকশ্যুট পরে লোহার তারের বেড়া দেওয়া একটি ঘরে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বসে আছেন।
সেখানে ধরে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক সিএনএনকে বলেছেন, “তেইমানের ওই বন্দিশালায় ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রায়ই কুকুর ছেড়ে দেওয়া হতো। এগুলো ছিল রাতের নির্যাতন।”
এছাড়া বন্দিরা সিএনএনকে জানিয়েছেন, তাদের একটি ফিল্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাদের শরীরের সব কাপড় খুলে শুধুমাত্র ডায়পার পরিয়ে রাখা হতো। এছাড়া হাসপাতালের বেডের সঙ্গে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধে রাখা হতো। আর তাদের খাওয়ানো হতো ছোট পাইপের মাধ্যমে।
এছাড়া হ্যান্ডকাফের মাধ্যমে বেধে রাখায় অনেকের হাত কেটে ঘা হয়ে গেছে। এতে করে কয়েকজনের হাত কেটেও ফেলতে হয়েছে। অনেকেই তাদের হাতে ঘায়ের চিহ্ন দেখিয়েছেন।