বরিশাল অফিস :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে সকল থেকে দফায় দফায় ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে হচ্ছে। জেলার বড় কাঁঠালিয়া গ্রামে আবু হানিফ হাওলাদারের গোয়াল ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়ে একটি গরু মারা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে ভোগাতিন্তে পড়েছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
জেলার নদী তীরের মানুষদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিষখালী নদীসহ আশে-পাশের নদ-নদীগুলোতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। নদী তীরের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য জেলায় ৮২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া নগদ ৫ লাখ টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪০০ টন চাল মজুদ রয়েছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ. কে. এম. নিলয় পাশা বলেন, ঝালকাঠিতে নদ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। যেগুলো বরাদ্দ পেলে করা হবে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, যদি অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে কিছু শাকসবজির ক্ষতি হতে পারে।