বরিশাল অফিস : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বরিশালে শুরু হয়েছে ধমকা বাতাস আর ভারী বর্ষণ। তবে এখনো বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। ফলে অভ্যন্তরীণ রুটের নৌযান লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। আজ শুক্রবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস থেকে নদী বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমরা অভ্যান্তরীণ রুটে চলাচলকারী ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছি।
এছাড়া বরিশাল-ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়নি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে।
তিনি জানান, কেন্দ্রে ৫১ থেকে ৫৪ কিলোমিটার গতিতে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকাগুলোকে দ্রæত তীরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। বরিশাল জেলায় মোট আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪১টি। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ প্রস্তত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হলে নগরীর প্রায় কেন্দ্র সদররোড সহ নগরীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে গেছে। অপর দিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। এতে চলাচলে বিড়ম্বণায় পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া দিন-মজুর সহ স্থানীয়দের।