বরিশাল অফিস :: বরিশাল সদর উপজেলা চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বেলতলা খেয়াঘাটের সড়কও জনপদের ঘাট ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, বেলতলা খেয়াঘাটের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ও ইজারাদার।
কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বেলতলা খেয়াঘাট। খেয়া পারাপারের যেন অনিয়ম বেড়েই চলছে। অনিয়মের সাথে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ,যাতে করে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত খেয়া পারাপারের টাকা। ফলে চরমোনাই ইউনিয়নের প্রতিবারের নেয় এবার মাহফিলে আসা লাখ লাখ মুসল্লীদের প্রতিনিয়তই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও হয়রানির ভয়ে নিশ্চুপ থাকেন তারা। এছাড়াও তাদের হাতে বছরের পর বছর জিম্মি চরমোনাই ইউনিয়নে বাসিন্দারাও।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বেলতলা খেয়া ঘাটে ঘাটের ইজারাদার লোক ইমরান ও স্থানীয় পলাশপুরের বাসিন্দা রাব্বি নামের যুবকের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এ সময় কাউনিয়া থানার এক পুলিশ সদস্য লাঞ্ছিতর শিকার হন। আহত পুলিশ নগরীর কাউনিয়া থানার কনস্টেবল মমিনুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছরের মত এবছরও চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্যে আশা যাত্রীদের কাজ থেকে পল্টনে প্রবেশ করলেই ৮টাকা ভাড়া আদায় করেন। পরবর্তীতে পল্টন থেকে মুসল্লীরা ট্রলার রিসার্ভ করে চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলে ঘাট ইজারাদারের বাহিরে ট্রলার প্রতি পাঁচশত টাকা থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে আশা মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ সদস্যদের কঠোর ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছেন ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন,চরমোনাই মাহফিলকে কেন্দ্র করে মুসল্লীদের হয়রানি বা ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় ও মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বেলতলা খেয়া ঘাটে ঘাট ইজারাদার ও স্থানীয়দের ভিতর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিউটিরত পুলিশ সদস্য নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তার উপরও হামলা হয়। উক্ত ঘটনায় রাব্বি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।