শিরোনাম

“চলাফেরায় অক্ষম স্টিভ এখন ‘ইন্ডিয়া’স বেস্ট ডান্সার’: প্রেরণার এক অনন্য গল্প”

Views: 19

ভারতের আলোচিত রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’-এর চতুর্থ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন স্টিভ জিরওয়া। এই জয়ের পর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের শৈশবের সংগ্রাম এবং কঠোর পরিশ্রমের কথা জানিয়ে আবেগপূর্ণ অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।

স্টিভ জিরওয়া, যিনি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’ এর চতুর্থ মৌসুমে প্রতিযোগিতা করে শিরোপা জিতেছেন, পুরস্কার হিসেবে ১৫ লাখ রুপি এবং একটি গাড়ি পেয়েছেন। এছাড়া, তার কোরিওগ্রাফার রক্তিম ঠাকুরিয়া পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি। বিচারকদের প্যানেলে ছিলেন— কারিশমা কাপুর, গীতা কাপুর ও ট্যারেন্স লুইস। শো-টির চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের মধ্যে আরও ছিলেন হার্ষ কেশরী, নেক্সশন, নেপো, আকাঙ্ক্ষা মিশ্র (অকিনা) ও আদিত্য মাল্য।

স্টিভ জিরওয়া ট্রফি হাতে পাওয়ার পর বলেন, “যখন আমি আমার হাতে ট্রফি তুলে নেওয়ার কথা ভাবি, গায়ে কাঁটা দেয়। এটা আমার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল। কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত ফল দেয়, এবং কথাতেই তো বলা হয়, ‘ধৈর্যের ফল মিষ্টি’। আমার মনে হয়, এটি সেই সব সংগ্রামের ফল যা আমি ছোটবেলায় পেরিয়েছি। আমি কখনোই আমার কঠোর পরিশ্রমকে বৃথা যেতে দিইনি।”

স্টিভ আরও বলেন, এটি একটি দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। এই মুহূর্তটার জন্য আমি বহু দিন ধরে অপেক্ষা করেছি। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না যে, এই জয় কতটা আনন্দের। আমি এই পুরস্কার মা এবং দাদির হাতে তুলে দেব, কারণ তারা আমাকে সারা জীবনের জন্য শক্তি ও উৎসাহ দিয়েছেন।

স্টিভের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তার শৈশব, যখন তিনি হাঁটতে পারতেন না। এই কঠিন সময়কে পেছনে ফেলে আজ তিনি ফুটওয়ার্কের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। শৈশবের সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে স্টিভ বলেন, “যে ছেলে কখনো নিজের পায়ে হাঁটতে পারত না, সে আজ ফুটওয়ার্কের জন্য পরিচিত। আমি এখন মাঝেমধ্যে নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না। আমার দাদি ও মা আমাকে সব বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। তাদের শক্তি ও উৎসর্গের কারণেই আমি আজ হাঁটতে ও নাচতে পারি।”

স্টিভের এই জয় শুধু তার জন্য নয়, তার পরিবার এবং সমাজের জন্যও একটি বড় অর্জন। তার গল্প অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক, যেখানে শৈশবের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে একজন তরুণ শিল্পী বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। স্টিভের মতো তরুণ শিল্পীরা তাদের সংগ্রাম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে শিখিয়ে দেন যে, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের মাধ্যমে জীবনের সবচেয়ে বড় বাধাগুলোও অতিক্রম করা সম্ভব।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *