শিরোনাম

চাঁদাবাজির মামলায় অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

Views: 9

চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জন অব্যাহতি পেয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী (হাবলু), আজিজুল করিম তারেক এবং মনিজুর রহমান (মানিক)।

পুলিশের তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বিচারক তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন মামলাটি দাখিল করার সময় চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হলফনামা সম্পাদন করেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশেষ মহলের চাপে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।

এছাড়া, তদন্তকালে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের কারণে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং অন্যান্য আসামিদের চিনতেন না এবং এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি।

তদন্তে আরো জানা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং এ মামলাটি দায়ের করতে বাধ্য করা হয়।

তদন্তের মধ্যে সব তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং সব আসামি মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজের শর্ত পূরণ না হলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী চাঁদার টাকা পরিশোধে বাধ্য হন এবং পরে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এমন অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছিল।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *