চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রত্যাশা, বিদেশে চিকিৎসা শেষে বেগম খালেদা জিয়া আবারও দলের হাল ধরবেন। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যুক্তরাজ্যে নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, কানাডা থেকে আসা একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ৮ নভেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়তে পারেন বেগম জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগারে ৯ মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়, কিন্তু ১ মাস ২ দিন পর আবারও কারাগারে নেয়া হয়।
২ বছর ৩ মাসের কারাজীবনে বেগম জিয়াকে কয়েক দফা বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সনের লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারিভাবে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ৭ বার আবেদন করা হয়, যা প্রত্যেকবারই নাকচ হয়।
গত ৬ আগস্ট মুক্তির পর বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। জানা গেছে, ৮ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। কানাডা থেকে আসা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যাবেন তিনি। তার সঙ্গী হবেন মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনের একটি দল।
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তার বড় পুত্র তারেক রহমান ও পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন থাকার পর, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হবে বেগম খালেদা জিয়াকে। বিএনপির নেতাদের প্রত্যাশা, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি আবারও দলের হাল ধরবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আরও সাত বছর আগে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করানো দরকার ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সে সুযোগ দেয়নি। যদি আগে চিকিৎসা করানো যেত, তাহলে তিনি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারতেন। আমরা আশা করছি, এবার সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে তিনি আবারও পুরোপুরিভাবে দলের হাল ধরবেন।”
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।