শিরোনাম

ছয় বছর আগে বিদায় নিলেন আইয়ুব বাচ্চু, স্মৃতিতে রয়ে গেলেন কিংবদন্তী

Views: 19

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: “রূপালি গিটার ফেলে, একদিন চলে যাবো দূরে বহুদূরে” — এই উদাত্ত কণ্ঠে গাওয়া গানটি আজও resonates করে। বাংলা ব্যান্ডের কিংবদন্তী শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর, সকাল বেলায় ঘুম ভাঙতেই কানে আসে এক দুঃসংবাদ। আইয়ুব বাচ্চু আর নেই! যেন কেউ বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। রাস্তায় বের হলেই মানুষের মুখে মুখে ছিল একই খবর। তবে কি সত্যিই রুপালি গিটার ফেলে দূরে, বহুদূরেই চলে গেলেন এই গিটারের জাদুকর?

মুহূর্তের মধ্যেই শোকে ভারী হয়ে ওঠে সারাদেশ। সামাজিক মাধ্যমে ভেসে ওঠে নেটিজেনদের শোক; প্রিয় শিল্পীকে হারানোর বেদনা। হাসপাতালেও ভিড় জমে যায় মানুষে মানুষে। চট্টগ্রামের শেষযাত্রার আয়োজন ছিল জনসমুদ্রের মতো। ব্যান্ড সংগীতের জগতে এত বিষণ্নতা এর আগে কেউ দেখেনি।

কিংবদন্তী এই শিল্পী বিদায় নেন মাত্র ৫৬ বছর বয়সে। তার রুপালি গিটারটিও হয়তো রয়ে গেছে। কিন্তু তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান, যেমন ‘তুমি’, ‘এক আকাশে তারা’, ‘ফেরারি মন’, ‘আমি বারো মাস’, ‘এখন অনেক রাত’, এবং আরও অনেক।

১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় আসেন আইয়ুব বাচ্চু। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলেন। এক সময় বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী তারকা হয়ে ওঠেন।

আইয়ুব বাচ্চু যখন গিটার বাজাতেন, সুর ঝলক দিয়ে উঠত শ্রোতাদের মনে। কনসার্টে তিনি ও তার ভক্তরা একসাথে গান গাইতেন। ভক্তরা তাকে ‘এবি’ ও ‘বস’ নামে ডাকতেন।

আইয়ুব বাচ্চুর নামটি ছিল একেবারেই ইউনিক। তাঁর বাবা চান যে তাঁর ছেলের নামটি এমন হবে যা অন্য কারও নেই। তাই তিনি আইয়ুব আলী ও আইয়ুব হোসেনের নাম থেকে আলাদা অংশ নিয়ে রাখেন—আইয়ুব বাচ্চু। সেই থেকে তিনি হলেন ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ আইয়ুব বাচ্চু।

নব্বই দশক থেকে আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল, কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে-মিশে থেকেছেন। তিনি চেয়েছিলেন, একজন ‘ভালো মানুষ’ হয়ে সবার হৃদয়ে বাঁচতে।

**ট্যাগ:** আইয়ুব বাচ্চু, গিটার, বাংলা ব্যান্ড, কিংবদন্তী, শিল্পী, স্মৃতিচারণ, ভক্ত, বাংলাদেশ, সঙ্গীত, গানের ইতিহাস, জনপ্রিয়তা, চট্টগ্রাম, সামাজিক মাধ্যম, শোক, মৃত্যুবরণ, শিল্পের প্রতি ভালোবাসা, নস্টালজিয়া, সাংস্কৃতিক স্মৃতি, সঙ্গীত শিল্পী

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *