শিরোনাম

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ২১ বছর পর ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

Views: 45

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট শহরের দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, একই মহল্লার মোহাম্মদ আলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল মিয়া, আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, শান্তিনগর মহল্লার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, সদর উপজেলার তেঘর বিশার গ্রামের কাবেজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে শাহী মিয়া, একই মহল্লার রফিক উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া, নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম মিয়া, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।

এদের মধ্যে বেদিন, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলু পলাতক।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে শহরের চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর শহরের ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান আসামিরা। এরপর ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মোয়াজ্জেমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ২৯ জুন সকালে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *