শিরোনাম

জয় বললেন, এফবিআই’র রিপোর্ট ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’, বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে

Views: 8

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর রিপোর্ট নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন যে, ওই রিপোর্টটি ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’। তিনি এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের কয়েকটি গুরুতর ভুলের কথাও উল্লেখ করেছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জয় বলেন, “সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে এফবিআই-এর একটি রিপোর্ট ফাঁস করা হয়। তবে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুতর ভুলও রয়েছে।”

এফবিআইয়ের তদন্ত অনুযায়ী, হাসিনা ও জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০ কোটি ডলার (৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা জয়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম উদঘাটন করেছে। এর ভিত্তিতে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করবে।

এফবিআই আরও জানায়, তারা জয়ের বিলাসবহুল ৮টি গাড়ি এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে। তবে জয় তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, এসব গাড়ি অনেক পুরোনো এবং অধিকাংশই বহু আগে বিক্রি হয়ে গেছে।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা হংকং ও কেম্যান আইল্যান্ডে সজীবের ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে এবং স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি জানা যায়। তবে জয় এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি পুরো বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে এসব অভিযোগ প্রমাণ করে দেখানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া, প্রতিবেদনে সজীব ওয়াজেদের স্ত্রী ক্রিস্টিনের সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হলেও, জয় তার পোস্টে বলেন, “ক্রিস্টিন এবং আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *