শিরোনাম

জলদস্যুদের হাত থেকে ১৭ নাবিক উদ্ধার!

Views: 68
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এর ১৭ জন ক্রুকেও। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে নি জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা গত ৪০ ঘণ্টায় সমন্বিত ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সফলভাবে ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। পাশাপাশি, শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে সোমালি দস্যুদের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন। প্রায় তিন মাস পর গত শুক্রবার এটিকে আটকে দেয় ভারতীয় নৌবাহিনী।

ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের জন্য মাল্টার পতাকাবাহী এই জাহাজটি ব্যবহার করেছিল সোমালি জলদস্যুরা।

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ নটিক্যাল মাইল (২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার) দূরে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজ এমবি রুয়েনকে থামতে বাধ্য করে আইএনএস কলকাতা। আইএনএস সুভদ্রা, হালে আরপিএ ড্রোন, পি৮আই সামুদ্রিক টহল প্লেনের সমন্বিত কার্যকলাপ এবং সি-১৭ প্লেন থেকে কমান্ডোদের এয়ারড্রপের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হয়।

দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের পর জাহাজটি থেকে সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এর আগে পৃথক এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, গত শুক্রবার তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটিকে বাধা দেয়। এসময় জলদস্যুদের দখলে থাকা জাহাজটি থেকে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজটিতে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে এবং জিম্মি সব বেসামরিক নাগরিককে ছেড়ে দিতে বলেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সোমালি জলদস্যুরা গত ১৪ ডিসেম্বর মাল্টিজ জাহাজ এমভি রুয়েন দখল করে। তারা এ সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ে এটি ব্যবহার করে থাকতে পারে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *