ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের আত্মমর্যাদা অর্জন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি মাইলফলক। তিনি উল্লেখ করেন, “এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারব।” নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে, আমরা আবারও রাস্তায় নামব।”
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই।” তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মতো একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ভুল করলে শুধরে দেবেন।”
এছাড়া, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের পাশাপাশি শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “আমরা যেন সবার সামনে দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত দেশবাসীর কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ না পায়।” তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে যদি শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়, এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এতদিন রাজপথে বিক্ষোভ করেছি, এখন আমাদের রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের মেধা এবং সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি জেন জি প্রজন্মের আন্দোলন সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জেন জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা অলস নয়, তারা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে পারে।” জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, “বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয় না।” তিনি আন্দোলনে আহতদের জন্য আজীবন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম