আমেরিকার প্রস্তাবে একটি ‘পূর্ণ ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি, নিহত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত এবং ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমেরিকার তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবে তিনটি পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রথম ধাপে জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি সম্পর্কিত।
দ্বিতীয় ধাপে ‘শত্রুতার স্থায়ীভাবে অবসান’ এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে যুদ্ধের কারণে ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়া গাজার জন্য বহু বছরের পুনর্গঠন পরিকল্পনার রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে তিন ধাপের পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই প্রস্তাব পাস হলো।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউএস অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, আজ আমরা শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছি।
ব্রিটেনের অ্যাম্বাসেডর বারবারা উডওয়ার্ড গাজার পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, দুর্ভোগ দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
গত মার্চে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে এই যুদ্ধ শুরু হয়। হামাস প্রায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী