জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, নেতার সংখ্যার দিক থেকে এখনো জিএম কাদেরের সঙ্গে রয়ে গেছেন অধিকাংশরা। আর সংসদেও রয়েছে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। কিন্তু সাংগঠনিক দিক থেকে দুর্বল জাতীয় পার্টি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। কারণ রাজধানীতে জাতীয় পার্টির যেকোনো সভা-সমাবেশে লোকবল (ম্যান পাওয়ার) দিয়ে থাকেন দলের কো-চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু। এ দুজন এখন রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সেলিম ওসমান, পুরান ঢাকার সাইফুদ্দিন মিলন ও কাজী ফিরোজ রশীদ রাজধানীর সভা-সমাবেশে লোকবল দিয়ে থাকেন। এই তিনজনের মধ্যে কাজী ফিরোজ রশীদ রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আর সাইফুদ্দিন মিলন রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগ না দিলেও তিনি জিএম কাদেরের প্রতি ক্ষুব্ধ। ফলে এখন লোকবল সমাগম করার মতো জিএম কাদেরের সঙ্গে আছেন একমাত্র সেলিম ওসমান।
জিএম কাদেরের অংশের নেতারা বলছেন, সারা দেশে জাতীয় সাংগঠনিক অবস্থা আগে থেকেই দুর্বল। তার মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নেতারাও প্রত্যাশা অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা না পাওয়া জিএম কাদেরের নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। তারাও এখন রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। ফলে দলের মূল নেতৃত্বে এবং সংসদে জিএম কাদের থাকলেও সাংগঠনিকভাবে তিনি ক্রমেই দুর্বল থেকে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় দলটি আগামীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা এখনই বলা মুশকিল। তবে চলমান অবস্থা অনুধাবন করতে পেরে ইতোমধ্যে রাজধানীতে বিভিন্ন সভা-আলোচনা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন জিএম কাদের।