চন্দ্রদীপ ডেস্ক: ভারতের কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘‘ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এসব সংবাদমাধ্যমের তালিকায় আছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো এশিয়া নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস), ফার্স্ট পোস্ট, নিউজ ১৮-সহ দেশটির আরও কিছু সংবাদমাধ্যম।
ছিনতাইকৃত বাংলাদেশের-পতাকাবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী/Navy rescues hijacked Bangladesh-flagged ship’’ শিরোনামে এমভি আব্দুল্লাহকে নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই শিরোনামের দাবির বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। বরং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের শিকার বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজকে জরুরি সহায়তার অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই অঞ্চলে ভারতীয় নৌবাহিনীর এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযানের সর্বশেষ ঘটনা এটা।
দেশটির সংবাদ প্রতিদিন নামের বাংলা পত্রিকাটি এভাবে উল্লেখ করে যে, “শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত ১২ মার্চ এমভি জাহাজটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেটিকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। প্রথমে জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও জাহাজটি থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তার পরই সমুদ্রে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। অবশেষে ১৪ মার্চ সকালে জলদস্যুদের কবল থেকে এমভিকে উদ্ধার করা হয়। সোমালিয়া উপকূলের কাছে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের হাত থেকে সফলভাবে মুক্ত করা পণবন্দিদের। জাহাজের সকল বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, জাহাজটি অপহরণ করেছিল ১৫ থেকে ২০ জন জলদস্যু।
কিন্তু ১৪ তারিখ উদ্ধার হলে তা ১৬ তারিখ কেন জানাবে? আর উদ্ধারকৃত নাবিকরা কী এই খবরটা তাদের পরিবারকে দিবে না?
তবে চন্দ্রদীপও আশা করে, ভারতীয় নৌবাহিনী সফল হোক। স্বজনদের কাছে ফিরে আসুক অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।