চন্দ্রদীপ ডেস্ক : জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদার মানবিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে ৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা) তহবিল চেয়েছে।
গত সন্ধ্যায় জেনেভায় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবেলায় ২০২৪ সালের কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি)’ আওতায় ওই সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণ মিলিয়ে মোট সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের সহায়তায় ওই সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের উদারতায় এ দেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় পেয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে সাত বছর আগে।
কর্মপরিকল্পনা ও আনুষঙ্গিক আর্থিক চাহিদা জেনেভায় দাতাদের সামনে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক এমি পোপ।
জাতিসংঘ জানায়, মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের এই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি এবং শরণার্থীদের সুরক্ষা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যৌথ কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত থাকছে ১১৭টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি।