মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য নাট্যকলা বিভাগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা পদক পেলেন নাট্যজন মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়তে নিরন্তর কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর নানা বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুনীজনদের ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা’প্রদান করে আসছে। এ বছরেও (২০১৮-২০২২) সর্বমোট ২৫ জন গুনীজনকে সম্মাননা প্রদান করেছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা কালচারাল অফিসার কাজী মোঃ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী।
নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য নাট্যকলা বিভাগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা পদক পেলেন নাট্যজন মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নাট্যজন মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কাজী মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরেই আমরা নানা বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুনীজনদের সম্মাননা প্রদান করে থাকি। এবছরেও তারই ধারাবাহিকতায় আমরা গত পাঁচ বছরে (২০১৮-২০২২) ২৫ জন গুনীজনকে সম্মাননা প্রদান করেছি। নাট্যকলা বিভাগে নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য নাট্যজন মুজাহিদ প্রিন্সকে সম্মাননা পদক প্রদান করতে পেরে আমরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি গর্বিত। তার অনন্য প্রতিভায় ও সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ হবে আমাদের পটুয়াখালীর নাট্যাঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত বলেন, প্রিন্স আমার সন্তানের মতো। প্রিন্সকে যখন আমি হাত ধরে ড্রামাটিক ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলাম তখনি বুঝেছিলাম এই ছেলে একদিন পটুয়াখালীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের হাল ধরবে। ঠিক তাই হয়েছে৷ প্রিন্সের এই সফলতায় এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে আমি গর্বিত এবং আনন্দিত। আমাদের পটুয়াখালীর থিয়েটারের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রিন্স ও তার দল ‘সুন্দরম’ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রিন্সের বিচক্ষণ দক্ষতায় প্রসারিত হোক পটুয়াখালীর নাট্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন।
নাট্যজন প্রফেসর এম. নুরুল ইসলাম বলেন, প্রিন্সের দূরদর্শী পরিকল্পনা, দায়িত্বশীলতা ও সৃজনশীল মেধা শক্তির জন্যে আজ পটুয়াখালীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন অনেকটাই মসৃন ও প্রশংসনীয়। সাংস্কৃতিক কর্মীদের অধিকার আদায়ে প্রিন্সের কন্ঠস্বর সর্বদাই বলিষ্ঠ ভুমিকায় ছিলো৷
নাট্যজন মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, এই সম্মাননা পদক আমাকে আরও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেছে। মফস্বলে নাট্যচর্চাকে বেগবান করতে আমার দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিলো এই পদক। পটুয়াখালীতে থিয়েটারের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমি ও আমার দল ‘সুন্দরম’ কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে নাটকে বিশেষ অবদানের জন্যে সম্মাননা পদক প্রদান করায় আমি জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই।