পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উত্তাল সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভিড় করেছেন শত শত পর্যটক। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে তারা সমুদ্রে গোসল করতে এবং বিভিন্ন আনন্দ আয়োজন করতে ব্যস্ত রয়েছেন, যা রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। যদিও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তবুও অনেকেই তা উপেক্ষা করছেন।
এদিকে, কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। থেমে থেমে বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝোড়ো বাতাস, ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যে তেমন উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এ সময়ে যে পরিমাণ পর্যটক থাকার কথা, তার তুলনায় বর্তমানে সংখ্যা অনেক কম। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর ফলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন জানান, “বছরের এই সময়ে সাধারণত যে পরিমাণ পর্যটক আশা করা হয়, তা এখন দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।”
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, উপকূলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “জরুরি সভা ডেকে সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাইকিং করতে বলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”