চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: টয়লেটে ফোন ব্যবহার করা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। টয়লেটের দরজার লক, ফ্লাশ, কমোড, এবং পানি ট্যাপ ইত্যাদিতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। যেহেতু টয়লেট বেশিরভাগ সময় ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, তাই এখানে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়াতে পারে।
২০১৬ সালে একটি জরিপে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ টয়লেটে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এই অভ্যাসটি বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। দেখে নেওয়া যাক, টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শরীরে কী কী ক্ষতি হতে পারে:
১. ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ: বাথরুমের পরিবেশে প্রচুর জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকতে পারে, বিশেষত ই. কোলাই, সালমোনেলা এবং স্টেফাইলোকক্কাস। ফোনের মাধ্যমে এই জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে।
২. পেটের অসুখ ও খাদ্যবাহিত রোগ: টয়লেটের জীবাণু ফোনের মাধ্যমে খাদ্য বা হাতের সংস্পর্শে আসলে পেটের অসুখ বা ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. হাতের হাইজিনে অবহেলা: টয়লেট ব্যবহারের পর ফোনে মনোযোগ দিলে হাত ধোয়ার প্রক্রিয়া অবহেলিত হতে পারে, ফলে জীবাণু ফোনে এবং অন্যান্য বস্তুতে ছড়িয়ে যেতে পারে।
৪. মনের একাগ্রতা ব্যাহত হওয়া: বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে মনোযোগ বিভক্ত হয়ে যায়, যা দীর্ঘ সময় বাথরুমে থাকার কারণ হতে পারে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৫. ফোনের ক্ষতি: টয়লেটে ফোনের মাধ্যমে পানি বা আর্দ্রতা ঢোকার ঝুঁকি থাকে, যা ফোনের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বাথরুমে ফোন নেয়া মানসিকভাবে আরামদায়ক মনে হতে পারে, তবে এটি জীবাণু সংক্রমণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি, এবং ফোনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাথরুমে ফোন না নেয়াই শ্রেয়।