টুকু জামিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ, ৭ জানুয়ারি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মেরিন ড্রাইভে ২১.১ কিলোমিটার চট্টগ্রাম সিটি হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষে ‘ফিনিশ লাইন’ পার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টুকু জামিল ম্যারাথন দুনিয়ায় এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। ২০১৮ সাল থেকে ৩০টি ট্রেইল আলট্রা, হাফ ম্যারাথন এবং মিনি ম্যারাথনে অংশ নেন। ২০২০ সালে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন “টিম পটুয়াখালী”। এ ব্যানারে দেশের প্রতিভাবান ও কম সুবিধাপ্রাপ্ত রানারদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে পটুয়াখালী জেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দেন। তার অসাধারণ দৌড় প্রতিভা ও সংগঠন ক্ষমতা তাকে ‘রেইস অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
জীবনের শেষ ম্যারাথনে অংশগ্রহণকালে টুকু জামিল ফিনিশ লাইনে পৌঁছে পায়ের মোজায় রাখা “পটুয়াখালী” ব্যানারটি সবার সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তার মুখে ছিল এক অনবদ্য হাসি, যা তার জেলা প্রেমের এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
টুকু জামিল ছিলেন পটুয়াখালীর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সন্তান। তার পিতা ছিলেন এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন সুলতান মিয়া এবং মাতা হোসনে আরা বেগম। ১৯৯৩ সালে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন। পটুয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি ছাত্রদলের হয়ে এজিএস নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সে যোগ দেন। প্রশিক্ষণের শেষ মুহূর্তে ২০০১ সালে রাজনৈতিক কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
টুকু জামিলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বাদ আসর পটুয়াখালী গোরস্থান রোডস্থ বাসভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তার বড় ভাই মো. জাকির হোসেন, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক, সকলকে দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম