বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের পথে। প্রায় ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অভয়ারণ্যটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত।
বনে প্রবেশের জন্য টেংরাগিরি সেতুর নির্মাণ কাজ তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, যার ফলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমে গেছে। সেতুর উচ্চতা সংক্রান্ত জটিলতা, সীমানা প্রাচীরের অবস্থা, চলাচলের রাস্তা ও সেতু সবকিছুই নাজুক হয়ে পড়েছে। বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে যে দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।
টেংরাগিরি ইকোপার্কের মধ্যে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নির্মিত সড়ক, সেতু ও বিশ্রামাগারের বেশিরভাগই ভেঙে গেছে। ইটের রাস্তা থেকে উঠে গেছে ইট, ছোট ছোট সেতুর কাঠ ও সিমেন্টের পাটাতন সরে গেছে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। দর্শনার্থীরা বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার করছেন। এছাড়া বনের ভিতরে বিভিন্ন প্রাণীর নিরাপত্তার জন্য নির্মিত বেষ্টনীগুলি ভেঙে গেছে, এবং কিছু স্থানে বন্যপ্রাণী দেখা না যাওয়ার কারণে পর্যটকরা হতাশ হচ্ছেন।
বরগুনা থেকে আসা পর্যটকরা এই ইকোপার্কের বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সবকিছু ভাঙাচোরা হয়ে গেছে। রাস্তা, সেতু এবং বন্যপ্রাণী দেখার জন্য স্থাপনা সবই পরিত্যক্ত।’ তারা আরও বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত এসব সমস্যা সমাধান না হবে, ততদিন পর্যটকরা আসতে চাইবেন না।’
বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ অফিসার মো. মতিউর রহমান জানান, সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে পর্যটকদের আসার সুবিধা হবে। তবে সেগুলোর সংস্কার এবং পুনরায় নির্মাণের জন্য বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, পর্যটন কেন্দ্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যবস্থা নিবে।
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম