শিরোনাম

ডাকাতিসহ ১২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

Views: 64

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগে মোট ১২টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার সাইদুর রহমান মানিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩।

শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে র‍্যাব-৩ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মানিক পটুয়াখালী সদরের দক্ষিণ বাজারঘোনার আ. সাত্তার মৃধার ছেলে।

র‍্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান মানিক পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার মূর্তমান আতঙ্ক সশস্ত্র আন্তঃজেলা ডাকাত দল মানিক বাহিনীর সর্দার। তার নেতৃত্বে পটুয়াখালীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রায় ২০টিরও বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলার আমতলী বাজার থানায় ৫টি ডাকাতি মামলা ও ২টি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। এছাড়াও পটুয়াখালী সদর থানায় ৫টি ডাকাতি মামলাসহ তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার মানিক মামলাগুলোর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

আরো পড়ুন : স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবক কারাগারে

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানিক জানায়, বহুল আলোচিত ২০১৫ সালে পটুয়াখালী সদর থানাধীন মাদারবুনিয়া ও বোতলবুনিয়া গ্রামে একই রাতে তিনটি বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনাটি তার নেতৃত্বেই ঘটেছিল। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তার মানিকের নেতৃত্বে ডাকাত দলের অপরাপর সদস্য নড়াইল শহীদ, নাদ্রা আল আমিন, রাসেল তালুকদার, জব্বার, রাকিব হাওলাদার, আলামিন মাতুব্বর, কামাল মাতুব্বর, চাঁন হাওলাদার, বশির সরদারসহ ১০/১২ জন সদস্যের একটি ডাকাত দল মানিকের বাড়িতে বসেই ডাকাতির প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। একই রাতে বোতলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজের বাড়িতে মমতাজের পার্শ্ববর্তী পাড়ার বাসিন্দা আজিজ মাঝির বাড়িতে ও মাদারবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী চৌধুরীর বসতবাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ডাকাতি করে।

আরো পড়ুন : সূর্যমুখী চাষে সফলতার মুখ দেখছেন উপকূলের হাজারও কৃষক

গ্রেপ্তার মানিক সম্পর্কে এএসপি শামীম বলেন, মানিক আলিম পাস। সে চাকরি না পাওয়ায় ২০০৪ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত নিজ এলাকায় রাইড শেয়ার করতো। তখন তার ডাকাতি কার্যক্রমের অন্যতম সহযোগী নড়াইল শহীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে ২০১৫ সালে ডাকাতির কাজে জড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালে একাধিক ডাকাতির মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া শুরু হলে সে পালিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চর সুমিলপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করে।
আত্মগোপনে থাকাকালে সে একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করতো এবং প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে সে নিজেকে সাঈদ নামে পরিচয় দিত। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *