সদ্য ডায়াবেটিস ধরা পড়লে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় কি খাবেন, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা কমায়।
সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার:
ডায়াবেটিকদের জন্য সকালের নাস্তায় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলো:
হাতে গড়া রুটি বা ব্রাউন ব্রেড: কর্নফ্লেক্সের পরিবর্তে বাজরার রুটি, ব্রাউন ব্রেড বা আটার রুটি খাওয়া উপকারী। এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পালং শাক মিশিয়ে অমলেট তৈরি করুন। এটি প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
স্প্রাউট সালাদ: ভেজানো ছোলা, মুগ ডাল, শসা, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ও লেবুর রস মিশিয়ে সালাদ তৈরি করুন। এটি ডায়াবেটিকদের জন্য আদর্শ টিফিন।
ছাতু: সকালে একটু ছাতু খাওয়া যেতে পারে। এটি পেট ভরা রাখে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সুজি ও ডালিয়া: ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন। ওটসও একটি ভালো বিকল্প; ওটসের প্যানকেক বা পরিজও সকালের নাস্তায় রাখা যেতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টিপস:
1. সঠিক খাবার নির্বাচন: সরল কার্বোহাইড্রেট (চিনি, গুড়, মধু, মিষ্টি) বাদ দিয়ে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান। ভাতের জন্য ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চাল বেছে নিন। প্রোটিনের জন্য ডাল, দই, মাছ, মুরগি খেতে পারেন।
2. লবণ পরিমিত খাওয়া: পাতে অতিরিক্ত লবণ না নেওয়া উচিত। এটি উচ্চ রক্তচাপ বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করে।
3. উপকারী ফ্যাট: অলিভ অয়েল, লবণহীন বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উপকারী।
4. বিকেলের টিফিন: সেদ্ধ ভুট্টা, অঙ্কুরিত ছোলা, বা ইয়োগার্ট ভালো বিকল্প।
5. নিয়মিত শরীরচর্চা: প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটুন বা এক্সারসাইজ করুন। এটি শর্করা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিসের সঠিক যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মূলমন্ত্র। একবার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন সম্ভব।