তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব অপতৎপরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে, সেসবের ক্ষেত্রে কোনো সুবিধা পাবেন না ট্রাম্প।
২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ প্রদান, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কর ফাঁকি, সম্পদের তথ্য গোপন ও ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ প্রদানের ঘটনায় নিউইয়র্কের একটি আদালত ইতোমধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ এনেছে। সেসব অভিযোগের বিচারকাজও চলমান রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা অনুসারে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা ও রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর বেলায় দায়মুক্তি পেতে পারেন ট্রাম্প; কিন্তু স্টর্মি ড্যানিয়েলস, কর ফাঁকি, ও সম্পদের তথ্য গোপন বিষয়ক মামলাগুলোতে তা ঘটবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের একটি বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের ফলে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের মামলাটি এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফের নিম্ন আদালতে চলে যাবে। এতদিন এটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল।
ফলে এই মামলার বিচারকাজও দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের যে ৬ সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষনা করেছেন, তাদের মধ্যে ৩ জন রায়ে সমর্থন জানানো থেকে বিরত ছিলেন। এই তিনজনের মধ্যে অন্যতম বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট পদে থাকার কারণে কোনো ব্যক্তি অপরাধ থেকে দায়মুক্তি পাচ্ছেন— এমনটা এই দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি। আমার মনে হয়েছে— এই রায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিপন্থি। তাই আমি এতে সমর্থন জানাইনি।’
প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসসহ বর্তমানে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে যেসব বিচারপতি রয়েছেন, তাদের অর্ধেকই নিয়োগ পেয়েছিলেন ট্রাম্পের আমলে। জন রবার্টসকেও প্রধান বিচারপতি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসনই।
নিউইয়র্কের যে আদালতে ট্রাম্পের ৩৪টি অভিযোগের বিচার চলছে, সেসব অভিযোগের রায় আগামী ১১ জুলাই ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।