শিরোনাম

ঢাকায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির শিশুতোষ নাটক ঝালাপালা মঞ্চায়িত

Views: 66

বরিশাল অফিস :: ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব নাট্যোৎসব ২০২৪ এ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হলো জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বরিশাল পরিচালিত রেপার্টরি শিশু নাট্যদলের নাটক ‘ঝালাপালা’।নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে বিকেল ৫টায় নাটকটির মঞ্চায়ন হয়।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় তিনটি হলে জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব নাট্যোৎসব ২০২৪ আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে বরিশাল শিল্পকলার প্রশিক্ষণ বিভাগের আবৃত্তি ও নাটক বিভাগের শিশুদের নিয়ে গঠিত রেপার্টরি শিশু নাট্যদল বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ‘ঝালাপালা’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে। নাটকের নির্দেশনা প্রদান করেন শিল্পকলা একাডেমির নাট্য ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক অনিমেশ সাহা লিটু। নাট্য প্রদর্শণী উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা পরিচালক ঋত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী।

‘ঝালাপালা’ সুকুমার রায়ের এক অনন্য রচনা। এ নাটকে যেমন অফুরান পরিচ্ছন্ন কৌতুক রস বিদ্যমান, তেমন রয়েছে জীবন ঘেঁষা নাট্যিক উপাদান। নামেই বলা হয়েছে এটি একটি ‘পালা’। অর্থাৎ পালাগানের মতোই জুড়ির গান দিয়ে জোড়া দেয়া হয়েছে ছিমছাম পর্বগুলো। ভালোমানুষ জমিদার চণ্ডীচরণকে ঘিরে একদল নিষ্কর্মা পরগাছার দল তাঁকে উত্যক্ত করে যাচ্ছে। তার মধ্যে সশিষ্য এক টুলো পণ্ডিত, এক বেসুরো গাইয়ে, গ্রামের গুণ্ডা আর ঠকবাজেরাও আছে। চণ্ডীচরণ অতি ভদ্রলোক, সরাসরি চাকর দিয়ে এদের তাড়াতে পারেন না, শেষপর্যন্ত তাঁর মামা কেদারকৃষ্ণের শরণাপন্ন হতে হলো।

তিনি এসে নিজের রচনা শুনিয়ে পণ্ডিতের কান ঝালাপালা করে আর বাকী সকলকে সাজানো পুলিসের ভয় দেখিয়ে তাড়ালেন। নাটকের গল্পে থেকে থেকে এ ওকে প্রহার করছে। ভাবধারায় নাটকটিকে স্ল্যাপস্টিক কমেডি বলা যায়। শিশু-কিশোরদের নিয়ে নাটকটি জীবন প্রবাহের এক বাস্তব রূপায়ণ। নির্দেশকের মুন্সিয়ানা আর শিশুশিল্পীদের অভিনয় নৈপুণ্যে নাটকটি অনবদ্য হয়ে ওঠে।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে রাজীন রাসূল, রওজাতুল জান্নাত লিয়ানা, ফাইজা বিনতে আসাদ, অনংশা সাহা শালুক, মো: তাসনীমুল হাসান আরাজ, রাওনাফ তাসনিম, অনন্যা বাড়ৈ, ইতমিনান আহমেদ, আফনান ইনকিয়াদ রাফিন, মুহাইমিন শামস্, মাহিদুল মাহি, জুনায়েদ শাহি, ওহিদুল ওহি, সানজানা হালদার, প্রত্যাশা মুখার্জী।

নাটকের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার মো: হাসানুর রশীদ এবং নির্দেশনা সহযোগী হিসেবে শাহিদা আক্তার, সুর ও সঙ্গীত পািরচালনায় মৈত্রী ঘরাই, আবহ ও তালযন্ত্রে উত্তম কুমার মুখার্জী, নৃত্যে জয়ন্তী রায়, পোশাক পরিকল্পনায় সাথী সাহা ও মমতাজ বেগম, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় দীপ সাহা কাজ করেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *